ব্যাকলিংক (Backlink) কি এবং কিভাবে কাজ করে।

ব্যাকলিংককে “ইনবাউন্ড লিঙ্ক”, “ইনকামিং লিঙ্ক” বা “ওয়ান ওয়ে লিঙ্ক” ও বলা হয়ে থাকে। এর মানে হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট থেকে অন্য আরেকটি ওয়েবসাইটের পেইজে লিংক করা। 

গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন একটি নির্দিষ্ট পেইজের ব্যাকলিংককে “ভোট” হিসাবে বিবেচনা করে। সর্বোচ্চ ব্যাকলিংক পাওয়া পেইজ গুলোকে অর্গানিক সার্চ ইঞ্জিনে রেঙ্কিং করা হয়ে থাকে।

কেন ব্যাকলিংক গুরুত্বপূর্ণ?

একটি ওয়েবসাইট গুগলে রেঙ্ক করার জন্য ব্যাকলিংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মূলত ব্যাকলিংককে অফ-পেইজ এসইও বলা হয়ে থাকে। একটি সাইটে অফ-পেইজ করতে হলে ব্যাকলিংক করতে হয়। 

ব্যাকলিংককে মূলত এসইও প্রাণ বলা হয়ে থাকে। একটি ওয়েবসাইট রেঙ্ক করার জন্য ব্যাকলিংকের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

ব্যাকলিংকের প্রকারভেদ কি?

ব্যাকলিংককে মূলত ২টি ভাগে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

 

১। ডু-ফলো (Do-Follow) ব্যাকলিংক। 

ডু-ফলো ব্যাকলিংক হচ্ছে আপনার সাইটে অন্য কারো লিংক সরাসরি লিংক করা। এতে আপনার সাইটি গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। 

একটি ডু -ফলো ব্যাকলিংকের ফলে আপনার সাইটে লিংক জুস (Link Juice) পাস হবে। শুধু তাই নয় যে ওয়েবসাইট থেকে আপনি ডু-ফলো ব্যাকলিংক পাচ্ছেন সেই সাইটটি/পেইজটি গুগলে ভালো রেঙ্কিং এ থাকতে হবে। 

ডু-ফলো ব্যাকলিংক দেখতে কেমন?

<a href=”https://othersite.com/”>Do-Follow</a>

 

২। নো-ফলো (No-Follow) ব্যাকলিংক। 

নো -ফলো ব্যাকলিংক সার্চ ইঞ্জিন রেঙ্কিং এ কোনো প্রভাব ফেলে না। এটি শুধু একটি HTML Attribute যার মধ্যে দিয়ে কোনো লিংক জুস পাস হয় না। গুগল সার্চ ইঞ্জিনে নো -ফলো ব্যাকলিংকের তেমন কোনো ভ্যালু নেই। 

তাহলে নো -ফলো ব্যাকলিংক কাদের বা কোন সাইট গুলোকে দেয়া হয়? মূলত ওই সকল পেইজ বা সাইট গুলোকে আমরা নো-ফলো দিবো যেগুলো Authority সম্পূর্ণ সাইট না এবং যেগুলো এফিলিয়েট সম্পূর্ণ লিংক বা পেইজ। 

নো-ফলো ব্যাকলিংক দেখতে কেমন?

<a href=”https://othersite.com/” rel=”nofollow”>No-Follow</a>

 

কেন ব্যাকলিংক প্রয়োজন ?

অফ -পেইজ এসইও বা ব্যাকলিংক করলে সাইটটি গুগল সার্চ ইঞ্জিন দ্রুত রেঙ্ক হতে সাহায্য করে। 

একটি সাইটের জন্য ৩টি কারণে ব্যাকলিংক করা হয়ে থাকে। যেমনঃ

১। সাইটের ভ্যালু বাড়াতে

২। ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য ও 

৩। সার্চ ইঞ্জিনে রেঙ্ক করার জন্য

কত ধরণের ব্যাকলিংক তৈরি করা যায়?

১। সোশ্যাল বুকমার্কিং

২। ব্লগ সাবমিশন 

৩। ইমেইজ সাবমিশন 

৪। গেস্ট পোস্টিং

৫। ডিরেক্টরি সাবমিশন 

৬। আর্টিকেল সাবমিশন 

৭। প্রোফাইল সাবমিশন 

৮। ক্লাসিফায়েড সাবমিশন 

৯। ওয়েব 2.0 সাবমিশন 

১০। ফোরাম সাবমিশন 

আশাকরি ব্যাকলিংক কি এবং কত ধরনের ব্যাকলিংক হতে পারে এই বিষয় সঠিক একটি গাইডলাইন পেয়েছেন। পরবর্তীতে কিভাবে ব্যাকলিংক সাবমিশন করতে হয় এই বিষয় আমরা আলোচনা করবো।